Close

ছাদ বাগান হতে পারে এক টুকরো শান্তির জায়গা

খন্দকার রাজীব আহমেদ 

দিন দিন শহরের ব্যস্ততা, কোলাহল এবং যান্ত্রিক জীবনের চাপে মানুষ মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। এমন এক সময়ে মানুষ খুঁজে বেড়ায় একটু শান্তি, প্রশান্তি এবং প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ। ঠিক এমন প্রেক্ষাপটে ছাদ বাগান হয়ে উঠতে পারে এক টুকরো স্বর্গ, এক কোণ শান্তির পরশ।

ছাদ বাগান বলতে বোঝায় ভবনের ছাদে গাছ লাগিয়ে তৈরি করা একটি সবুজ পরিবেশ। এটি শুধুমাত্র শখ নয়, বরং স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং মানসিক প্রশান্তির এক অসাধারণ সমন্বয়। যখন একজন মানুষ নিজের হাতে একটি চারাগাছ লাগান, সেটিকে যত্ন করে বড় করেন, ফুল ফোটে, ফল ধরে—তখন তার মনে জন্ম নেয় এক অপূর্ব আনন্দ ও আত্মতৃপ্তি।

ছাদ বাগান আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিনের ক্লান্তিকর কাজের পর ছাদে গিয়ে গাছের পাশে কিছু সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সবুজ গাছ, রঙিন ফুল আর পাখির কলকাকলি এক অন্যরকম প্রশান্তি দেয় মনকে। এটি একপ্রকার মেডিটেশনও হতে পারে।

এছাড়া ছাদ বাগান শহরের বায়ুদূষণ কমাতেও ভূমিকা রাখে। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যার ফলে আশপাশের পরিবেশ থাকে ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ। গ্রীষ্মকালে ছাদে গাছ থাকলে ভবনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

ছাদ বাগান থেকে মৌসুমি শাকসবজি, ফল বা ওষুধি গাছও চাষ করা যায়, যা পরিবারের স্বাস্থ্যকর খাদ্যের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। এতে একদিকে যেমন খরচ বাঁচে, অন্যদিকে নিরাপদ খাদ্যও নিশ্চিত হয়।

সবচেয়ে বড় কথা, ছাদ বাগান আমাদের সন্তানদের প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে সাহায্য করে। শিশুরা যদি ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানো, পানি দেওয়া এবং গাছের বৃদ্ধি দেখার অভিজ্ঞতা পায়, তাহলে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা।

খন্দকার রাজীব আহমেদ একজন কবি ও লেখক। জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সদর থানায়। লেখক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল, ডকুমেন্টারি ও কবিতা লিখেন।

One Comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

One Comment
scroll to top