Close

শিউলিবেলা (পর্ব- ১০)

20250522 105558

20250522 105558

মুহূর্তেই অরিত্রীর নিজেকে পাপী মনে হতে লাগলো, সে প্রথমদিন থেকে সামনে বসে থাকা মানুষটা সঙ্গে মিথ্যাচার করছে অথচ মানুষটা অকপটে বলে দিলো সে অরিত্রীকে ভরসা করে। অরিত্রী সত্যটা বলার জন্য মুখ খুলবে তখনই পিথিউশা বললো,
-‘আমি ভালো দৌঁড়াতাম, বললাম তো। স্টেশনে প্রায়ই পকেটমাররা টাকা মারতো, আমি অনেকবার দৌঁড়ে ধরিয়ে দিয়েছিলাম কয়েকজনকে। এভাবেই একদিন এক পকেটমারকে ধরিয়ে দেবার সময় পরিচয় হয় আমার দাদু মহসীনুল হকের সঙ্গে। অন্য সবার মতো তিনি আমাকে রাস্তার ছেলে ভেবে ঘৃণা করে দূরে সরিয়ে দেন নি, কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তোমার নাম কি বাবু? এখানে কোথায় থাকো?’ আমি হাতের ইশারায় রহমত চাচার ঝুপড়ি দোকানটা দেখিয়ে বলেছিলাম, ‘আমার চাচার সঙ্গে থাকি।’ উনি এরপর চাচার সঙ্গে কথা বললেন, আমাকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলেন। চাচা যখন আমাকে সবটা জানালো তখন আমি সরাসরি মানা করলাম। একটা অযাচিত জীবন চাচ্ছিলাম না, তাছাড়া চাচাকে ছেড়ে আসতেও মন চাইছিলো না।’
-‘তারপর?’
পিথিউশা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, চোখের কোণে জমা জল মুছে বলে,
-‘আমি স্টেশন ছেড়ে, চাচাকে ছেড়ে আসতে না চাইলেও চাচা চেয়েছিলেন আমি ওই জায়গাটা ছেড়ে দেই। তখন উপলব্ধি করতে না পারলেও বর্তমানের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমি অনুধাবন করেছি, রক্তের সম্পর্কের কেউ না হয়েও চাচা আমার জন্য উত্তম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাতে ঘুমানোর সময় চাচা আমাকে কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, ‘শোন বাবা, এ জীবনটা কোনো জীবনই নয়। তোর মেধা আছে, শারিরীক সামর্থ্য আছে, একটা ভালো পরিবেশ পেলে তুই সফল হবি। আমার কোনো পরিবার নেই, তুইই আমার একমাত্র পরিবার। তুই বড় কিছু হলে আমি গর্ব করে বলতে পারবো আমার ছেলে বড়মাপের মানুষ। তাছাড়া ওই বাড়িতে গেলে তুই মা-বাবা পাবি, দাদু পাবি, তোর একটা সম্পূর্ণ পরিবার হবে। আমি তো কোথাও যাচ্ছি না বাবা, তুই গিয়ে দেখ একবার, ভালো না লাগলে আমার কাছে ফিরে আসবি।’ অনেক বোঝানোর পর চাচার কথায় রাজি হলাম, হক পরিবারে আমার আগমন যেনো উৎসব বয়ে আনলো। বাবা-মা, দাদু প্রত্যেকে আমার গ্রুমিং নিয়ে ব্যস্ত। আমার তখন হাতেখড়ি হয় নি, মা আমার পড়াশুনা, খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ব্যস্ত। বাবা আমার পোশাক, চলাফেরা এসবের তত্ত্বাবধান করতেন। আর দাদু আমার সৎ ও সুন্দর চারিত্রিক গঠণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন।’
অরিত্রী মুচকি হাসলো, প্রফুল্ল স্বরে বললো,
-‘বাহ, আপনার একটা ভালো কাজ আপনাকে একটা পরিবার এনে দিলো। কি রোমাঞ্চকর জীবন আপনার…’
মুচকি হাসে পিথিউশা, অরিত্রীর নির্বুদ্ধিতায় কিঞ্চিত অবাকও হয়। হালকা কেশে গলা পরিষ্কার করে বলে,
-‘আপনি যতোটা সহজ ভাবছেন সবটা অতোটাও সহজ নয়। ছোটবেলা থেকে অবহেলায় বড় হয়েছি আমি, হক পরিবারের মানুষজন যদি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো তবে তা গ্রহণ করা আমার জন্য সহজ ছিলো কিন্তু তারা প্রথমদিন থেকেই আমাকে মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসতে লাগলো। তাদের কেবল একটাই চিন্তা, কিভাবে আমাকে একটা ভালো এবং নিরাপদ জীবন উপহার দেয়া যায়। আমি তাদের ভালোবাসা সাদরে গ্রহণ করতে পারছিলাম না, কারন আমার সবসময় মনে হতো আমার আপন বাবা-মা যদি আমার মায়া ত্যাগ করে জন্মের পরপরই আমাকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলতে পারে তবে এ মানুষগুলোর জন্য আমাকে নিজেদের জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া খুব বেশি কষ্টের হবে না। প্রতিনিয়ত ভয় হতো, মনে হতো এ মানুষগুলো আমাকে বের করে দিলে আমি নিরাপদ আবাসস্থল হারাবো, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবো, পরিবার হারাবো, আবার না খেয়ে দিন পার করতে হবে, অন্যের কাছে হাত পাততে হবে। তাই ওনারা যা বলতেন চুপচাপ মেনে নিতাম এবং করার চেষ্টা করতাম। চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত যা পড়া তা মা আমাকে বাসায়ই পড়িয়েছে। আমি যখন প্রথম স্কুলে যাই তখন দাদু তার পরিচিত এক বন্ধুর স্কুলে আমাকে পঞ্চম শ্রেনীতে ভর্তি করে দেন। ভর্তির সময় বাবা-মা আমার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমার মুখের দিকে একপলক তাকিয়েই আমার অমতের কথা বুঝতে পেরে দাদু বলেছিলেন, ‘পিথিউশা হক, ওর নামটাকে একটু ঘষামাজা করে ভর্তি ফর্মে এটা দিলেই হবে। ওর নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই, এ নামটাই ওকে ভবিষ্যতে মনে করিয়ে দেবে ওর শেকড়ের কথা, অতীতের কথা। এতে করে জীবনে চলার পথে ও কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।’ সত্যিই এ নামটা আমাকে আমার অতীত স্মরণ করিয়ে দেয় এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।’
হঠাৎ একগুচ্ছ বিষন্নতা এসে অরিত্রীকে চেপে ধরলো, বরাবরই তার মনে হতো সে বড্ড দুঃখী। কিন্তু আজ পিথিউশার অতীত জানার পর মনে হচ্ছে অরিত্রী ভাগ্যবান। অন্তত সে জন্মের পর পিতা-মাতাকে পেয়েছে, স্থায়ি আবাসস্থল পেয়েছে, অমিত আর অতসীর মতো সহোদর পেয়েছে, সুশিক্ষা পেয়েছে। পরমুহূর্তে মনে হয়, সব পেয়েও অরিত্রী ভীষণ একা, তার নিজের একজন মানুষ নেই। যে পিথিউশাকে সে তার অবচেতনে নিজ মনে ধারন করেছে সেই মানুষটা তার নয়, অতসীর… আবেগ সংবরণ করে অরিত্রী জিজ্ঞেস করলো,
-‘আপনার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কটা স্বাভাবিক হলো কি করে? সময়ের সাথে সাথে? নাকি এখানেও অন্য ব্যাপার আছে?’
পিথিউশার দীর্ঘশ্বাস বাতাসে মিলিয়ে যায়, উন্মুক্ত আকাশের দিকে দৃষ্টি স্থাপন করে বলে,
-‘সময়ের সাথে সাথে কিছুই ঠিক হয় না, কেবল মানুষ মানিয়ে নিতে শিখে যায়। কিন্তু আমার গল্পটা অন্যরকম, আমি স্বাভাবিকভাবে সবটা গ্রহণ করতে শিখেছিলাম ঈশানের আগমনের পর। ওর আগমন আমাকে আগাগোড়া সম্পূর্ণ বদলে দিলো, আমার ভয়, অনিশ্চয়তা, সংকোচ সবটা কাটিয়ে সেখানে ভালোবাসা আর দায়িত্বের বীজ বপন করে দিলো। আমি যখন সপ্তম শ্রেনিতে তখন ঈশানের জন্ম হয়। মা তখন হাসপাতালের বিছানায় অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছেন, বাবা সদ্য জন্মগ্রহণ করা ছোট্ট ঈশানকে আমার কোলে দিয়ে বলেছিলেন, ‘পিথিউশা, তুমি এখন আর ছোটটি নও, তুমি এখন বড় ভাই। তুমি যে পথে যাবে তোমার সহোদরও তোমায় অনুসরণ করে সে পথে যাবে। ওকে আগলে রাখার দায়িত্ব আজ থেকে তোমার…’ সে মুহূর্তে ছোট্ট ঈশানকে কোলে নিয়ে আমি অনুধাবন করলাম এতোদিন যে ভালোবাসা হারানোর ভয়ে আমার মন সংকীর্ণ হয়ে থাকতো সেখানে জন্ম নিয়েছে দায়িত্ববোধ। ভালোবাসার বাঁধন ছোটানো যায়, দায়িত্বের বাঁধন নয়। প্রথমবারের মতো কোনো দায়িত্ব এসে পড়েছিলো আমার উপর, আর তার সঙ্গে সঙ্গে আমার ভেতরকার সকল সংকোচ নিঃশেষ হতে লাগলো। ঈশানের জন্মের পরও মা সবসময় আমার ভালো-মন্দ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, আর আমি ব্যস্ত থাকতাম ঈশানকে নিয়ে। সম্পর্কে আমারা ভাই হলেও আমার গুরুত্ব ওর জীবনে সবচেয়ে বেশি। এই যে আমি বিয়ের কথা ভাবছি, ঈশান পাগলটা এখনই নৃত্য করতে আরম্ভ করেছে, বাবা আর দাদু উপদেশ দিচ্ছেন, আর মা? মা ভয় পাচ্ছেন…’
অরিত্রী অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,
-‘ভয় পাচ্ছেন, কেনো? কিসের ভয়? ছেলে বিয়ে দেয়া তো ভালো কাজ, ভয়ের কি আছে?’
পিথিউশা মুচকি হেসে বলে,
-‘তার আদরের ছেলে হাতছাড়া হবার ভয়। মায়ের ধারনা আমার অতীত জানার পর কোনো মেয়ে আমাকে বিয়ে করলেও যৌথ সংসারে থাকতে চাইবে না। যেহেতু তারা আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ নয় সেহেতু আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে একাই সংসার বাঁধতে চাইবে। ব্যাপারটা মায়ের জন্য শঙ্কার, কারন মা আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন। আমাকে ছাড়া উনি থাকতে পারবেন না… তাছাড়া আমিও ভেবে দেখেছি, যারা একদিন আমাকে নিজের পরিবার হিসেবে গ্রহণ করেছিলো তারা আজ আমার বড্ড আপন। তাদের ছেড়ে স্বার্থপরের মতো আলাদা থাকা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তাই আমাকে যে বিয়ে করবে তাকে আমার অতীত এবং বর্তমান জেনে আমার পরিবারের সঙ্গেই থাকতে হবে।’
অরিত্রী মুচকি হেসে বলে,
-‘আপনার মাকে ভয় পেতে বারন করবেন, সঙ্গে এটাও বলবেন যে, উনি পৃথিবীর সেরা মা এবং একজন স্বচ্ছ হৃদয়ের মানুষ। যে মেয়ে ওনার পুত্রবধূ হয়ে আসবে সে হবে সৌভাগ্যবতী।’
পিথিউশার চোখেমুখে দুষ্টুমি ফুটে ওঠে, কিছুক্ষণ আগের থমথমে পরিবেশের রেশ কাটাতে বলে,
-‘বলছেন? তাহলে সুযোগটা আপনি নিচ্ছেন না কেনো? আপনার সামনে তো সুযোগটা পড়েই আছে…’
অরিত্রীকে বোকার মতো চুপ করে বসে থাকতে দেখে উঠে দাঁড়ায় পিথিউশা, হালকা কেশে বলে,
-‘ভাবুন আপনি, আমি আপনাকে দ্বিতীয়বার কিছু জিজ্ঞেস করবো না। আপনার উত্তর হ্যাঁ বা না তা আপনার ভাবনা শেষ হলে জানাবেন। তাতে যত সময় লাগে লাগুক, আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো।’
অরিত্রী হঠাৎ যন্ত্রচালিত মানবের মতো বলে,
-‘আমার সঙ্গে আমার বাসায় যাবেন? আমার পরিবারের মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচিত হলেন…’
অরিত্রীর জানামতে আজ অতসীর দ্রুত বাড়ি ফেরার কথা, সে চাচ্ছে পিথিউশা একত্রে তাদের দু’বোনের মুখোমুখি হোক। নিজে থেকে সবটা খুলে বলার তুলনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে জবাবদিহিতা করা তার কাছে সহজ মনে হলো। তাছাড়া সব যেনে যদি পিথিউশা অতসীর বদলে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চায়, ঝুঁকি থাকলেও সুযোগটা নিতে চাইলো সে… তার মন জানে, সে পিথিউশাকে ভালোবাসে, সবটা জানলে হয় সে পিথিউশাকে সারাজীবনের জন্য হারাবে বা বাকি জীবনের জন্য পিথিউশা তার আপন মানুষ হবে! ভালোবাসা পেতে ঝুঁকি নিতে হয়, জানে অরিত্রী, তাই অনেক ভেবে ঝুঁকিটা নেবার সিদ্ধান্ত নিলো। মিথ্যে বলে আর ঠকাতে চায় না সে পিথিউশাকে, আজ সকল মিথ্যের অবসান ঘটুক…
অরিত্রীর প্রস্তাবে কিছুটা অবাহ হলো পিথিউশা, বিস্ময় কাটিয়ে উত্তর দিলো,
-‘আপনার পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হতে তো দোষ নেই, তবে যাওয়া যাক?’
-‘জ্বী, চলুন।’

১৭
অতসীর সঙ্গে পিথিউশার দেখা হয়েছে এবং কথা অনেকদূর এগিয়েছে ব্যাপারটা ঈশানের কাছে যেমন আনন্দের তেমন চিন্তারও। সে যতটা অতসীকে দেখেছে তাতে এতো সহজে কারো প্রতি দুর্বল হবার মতো মেয়ে না অতসী, তাছাড়া সে নিজেতে মত্ত থাকতে পছন্দ করে, আশ্রমের ব্যাপারটা তাই মানতে কষ্ট হচ্ছে ঈশানের, তাছাড়া কেনো যেনো অতসীকে পিথিউশার পাশে কল্পনা করতেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে ঈশানের। বাড়ির ছোট ছেলে সে, সর্বদা সবার আদরের পাত্র, বন্ধুমহলেও তার সুখ্যাতি আছে, কিন্তু অতসীর কাছে সে নিতান্তই গোবেচারা মানুষ। কেনো যেনো অতসীর সঙ্গে কথা বলতে, আগে পিছে ঘুরতে ভালো লাগে ঈশানের, মনে হয় কেউ তো আছে যে তাকে অন্যসবার চেয়ে আলাদা চোখে দেখে… ভাবতে ভাবতেই অতসীর নাম্বারে কল দিলো ঈশান, খুব কথা বলতে মন চাইছে তার। সাতবার কল করার পরও অতসী ফোন তুললো না, হঠাৎ ঈশানের দুশ্চিন্তা হতে লাগলো… অতসী ঠিক আছে তো! যা বেপরোয়া মেয়ে, কিছু হলো না তো আবার। নিজের অজান্তেই বাইরে যাবার জন্য পা বাড়ালো ঈশান। তার মাথার ঠিক নেই, সে জানে না সে কি করতে যাচ্ছে বা এর পরিণতি কি। সে কেবল জানে অতসীকে একবার সুস্থ অবস্থায় নিজের চোখে না দেখলে, একবার ওর গলার স্বর না শুনলে সে শান্তি পাবে না। অতসীর প্রতি এ বিশেষ অনুভূতির কোনো ব্যাখ্যা ঈশানের মন ও মস্তিষ্কে নেই, সেদিকে তার খেয়ালও নেই। সে দ্রুত পায়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছে, যেনো একটু দেরী হলেই তার প্রাণপাখি উড়ে যাবে…
হঠাৎই একটা পার্টিতে যেতে হয়েছে অতসীকে, সেট থেকে ফেরার সময়ই তাকে জানানো হয়েছে পার্টির কথা। তাড়াহুড়ায় সেভাবে জুতা নির্বাচন করা হয় নি। এখন হাঁটতে গেলেই গাউনে জুতার পাথর আটকে যাচ্ছে, যখন তখন পড়ে যাবার আশঙ্কা আছে ভেবে চুপচাপ এককোনায় বসে আছে সে।

চলবে…

নবধারা জল (যৌথ গল্পগ্রন্থ সম্পাদনা) সূর্যপ্রভা (উপন্যাস)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Leave a comment
scroll to top