“বইয়ের জবান”
____ নাজাত মৃধা।
আমি তোমার সর্বোত্তম বন্ধু, বই বলছি।
কেন আমাকে তুমি পড়ো না?
ফেলে রাখো অযত্ন আর অবহেলায়।
আমায় পাঠ করে,
তুমি জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে পারবে।
জ্ঞান আহরণ করে, তাকে বিস্তার করতে পারবে।
আমি বই, তোমার বিশ্বস্ত বন্ধু বলছি।
আমি সবসময় তোমার পাশে থাকি।
আমায় পড়ে তুমি সুখ, আনন্দ ও মজা পাও।
আমায় পাঠ করে,
তুমি কখনো হাসো, কখনো অশ্রু ঝরাও।
কখনো পুলকিত হয়ে, চলে যাও কল্পলোকে।
আমি তোমার একাকিত্বের সাথী, বই বলছি।
যখন সবাই তোমাকে ছেড়ে যায়,
তখন একমাত্র আমিই তোমায় সঙ্গ দেই।
আমায় পাঠ করে,
তুমি দুঃখ, কষ্ট ভুলতে পারো।
হয়ে ওঠো জ্ঞানী ব্যক্তি।
আমি তোমার প্রিয় সুহৃদ, বই বলছি ।
আমি কখনো তোমার জন্য উপকারী,
আবার কখনো হয়ে উঠি মারাত্মক ক্ষতিকর।
তুমি ভাবছো, বই আবার কীভাবে ক্ষতিকর হয়!
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের মধ্যে, যেমন ভালো-খারাপ আছে।
বইয়ের মধ্যেও তেমন কল্যাণকর বই ও অকল্যাণকর বই আছে।
কল্যাণকর বই যেমন জীবন গড়তে পারে,
তেমন অকল্যাণকর বই জীবন ধ্বংসও করতে পারে।
তাই তোমার জন্য উপকারী বই তুমি পড়ো।
আমি বই তোমার বিপদাপদ, সুখ ও দুঃখের সাথী বলছি ;
একজন ভালো পাঠকের বৈশিষ্ট্য কী জানো,
সে ভালো বই ও মন্দ বইয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে।
যদি কোনো বই,
তোমার জীবনে ধ্বংস ডেকে আনে,
সেই বই তুমি পড়ো না।
আমি মানুষ গড়ার কারিগর,বই বইছি।
আমার থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান,
তুমি জাতির কল্যাণে ব্যয় করো।
আমি বই, তোমার শ্রেষ্ঠ হিতৈষী বলছি।
আমাকে তুমি জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ো,
তুমি না পড়লে আমায়, অন্যকে দিয়ে দাও।
তবুও আমার ওপর ধুলো জমতে দিওনা,