খন্দকার রাজীব আহমেদ
বর্তমান পরিবেশ অত্যন্ত উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিল্পায়ন, নগরায়ন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বনভূমি ধ্বংস, বায়ু ও পানিদূষণ, প্লাস্টিকের অতিব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। দিন দিন উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মৌসুমি পরিবর্তন হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের হারও বেড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি কেবল একটি দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই এক গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী, সমুদ্র ও পাহাড় ধ্বংসের ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক প্রাণী-প্রজাতি বিলুপ্তির পথে, যা প্রকৃতির স্বাভাবিক চক্রকে ব্যাহত করছে। শিল্পকারখানার বর্জ্য এবং যানবাহনের ধোঁয়া পরিবেশে মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করছে, যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও চর্মরোগের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিকাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে; ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে, যার ফলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে, যা উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে বিপদের মুখে ফেলছে। এই সংকট মোকাবিলার জন্য ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সরকারি পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। গাছ লাগানো, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে রক্ষা করতে পারি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে হলে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি কেবল একটি দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই এক গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী, সমুদ্র ও পাহাড় ধ্বংসের ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক প্রাণী-প্রজাতি বিলুপ্তির পথে, যা প্রকৃতির স্বাভাবিক চক্রকে ব্যাহত করছে। শিল্পকারখানার বর্জ্য এবং যানবাহনের ধোঁয়া পরিবেশে মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করছে, যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও চর্মরোগের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিকাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে; ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে, যার ফলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে, যা উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে বিপদের মুখে ফেলছে।
এই সংকট মোকাবিলার জন্য ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সরকারি পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। গাছ লাগানো, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে রক্ষা করতে পারি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে হলে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতের প্রজন্ম পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয় এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতিতে বাস করতে শেখে। মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা দরকার, যাতে সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। একই সঙ্গে সরকারকে কঠোরভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রয়োগ করতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত শিল্পকারখানা, বন উজাড় ও নদী দখলের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নগর পরিকল্পনায় পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ, টেকসই কৃষি ও সবুজ প্রযুক্তির প্রসার ঘটানো এখন সময়ের দাবি।
বর্তমান বিশ্ব পরিবেশ এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। শিল্পায়ন, নগরায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বনভূমি ধ্বংস, বায়ু ও পানিদূষণ, প্লাস্টিকের অতিব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ফলস্বরূপ, উষ্ণতা বৃদ্ধি, ঋতু পরিবর্তন এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।
বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয়
এই সংকট শুধু একটি দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই গুরুতর হুমকি। নদী, সমুদ্র ও পাহাড় ধ্বংসের ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা প্রাকৃতিক চক্রকে ব্যাহত করছে। শিল্পকারখানার বর্জ্য ও যানবাহনের ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ করছে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও চর্মরোগের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিকাজেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে—ফসল উৎপাদন কমে খাদ্য সংকট তৈরি হচ্ছে।
এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপ জরুরি। গাছ লাগানো, পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার, প্লাস্টিক বর্জন, সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব শিক্ষা চালু করা, শিশুদের মধ্যে প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ গড়ে তোলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারকে পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। অবৈধভাবে বন উজাড়, নদী দখল ও দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব প্রচার করা দরকার।
পরিবেশ আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে হলে এখনই সচেতন ও দায়িত্ববান হতে হবে। প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সবশেষে, আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, তাহলে পরিবেশের অবক্ষয়ের ফল আমাদের সবাইকে ভুগতে হবে। প্রকৃতি আমাদের জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তাকে রক্ষা করাই আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করে তথ্যবহুল লেখা লিখেছেন। পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।