কতটুকু জানি আমরা আমাদের শরীর সম্পর্কে? কতজন নারী অর্গাজমের স্বাদ পেয়েছে কিংবা এই বিষয়ে জানে? পুরুষতন্ত্র আমাদের বঞ্চিত করেছে এই তীব্র সুখ থেকেও! এমনকি বড় বড় বিজ্ঞানীরা নারীর যৌনতা এবং অর্গাজমকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাই ঠিক একশ বছর আগেও নারী যৌনতা এবং অর্গাজম নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি কিংবা হতে দেয়া হয়নি, আর যা হয়েছে তা অস্পষ্ট এবং অনেক ভুলভাল মিশ্রিত।
মনোবিজ্ঞানের রাজা সিগমুন্ড ফ্রয়েডকে অনেকেই চেনেন, এই ভদ্র লোক নারীর ক্লিটরীয়াস অর্গাজমকে „যৌন এবং মানসিক অপরিপক্কতার একটি চিহ্ন“ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন, এমনকি আমাদের অর্গাজমকে „মানসিক অসুখ“ ও বলেছিলেন। ফ্রয়েডের ভূমিকা এবং গবেষণা সেইসময়ে নারী মুক্তির আন্দোলনে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তাই এইসময়ের অনেক নারীবাদীরাই ফ্রয়েডকে অপছন্দ করেন।
অথচ এই ভগাঙ্কুর বা ক্লিটোরিস নারী শরীরের এক বিস্ময়কর শক্তিশালী অঙ্গ, সেটা নিয়ে গত ১০০ বছরে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং দেখা গেছে এটা পুরুষাঙ্গের বা পেনিস এর মতই, যার ছোট একটা অংশ, একটা ছোট্ট বলের মত দৃশ্যমান, এবং বাকিটা থাকে আমাদের যোনির মধ্যে। সেক্সুয়াল স্টিমুলেশনে এটা তিনগুন বড় হতে পারে এবং থাকে ৮০০০ এর মত স্নায়ু বা নার্ভ যা কিনা পেনিসের থেকে দুইগুণ বেশি! চিন্তা করে দেখুন, আমাদের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি শক্তিশালী অঙ্গটি বিজ্ঞান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছেল!
আপনার পুরুষ সঙ্গীটি সেক্সে আপনার অর্গাজম বিষয়ে কতটুকু আগ্রহী? সুখটা পুরুষের কোন নিজেস্ব সম্পত্তি না, তাই আমাদের সামাজিক অধিকারের মত, যৌনজীবনে সুখের জন্যও সচেতন হতে হবে। আর তাছাড়া অর্গাজম সঙ্গী কিংবা যৌনমিলন ছাড়াও হয়।
যাই হোক, ‘How To Have Feminist Sex’ by Flo Perry – এই বইটা বেশ মজার, গ্রাফিকগুলো দারুণ। সহজ এবং মজা করে উপস্থাপন করেছে আমাদের শরীর, অরিয়েন্টেশন, বডি পজিটিভিটি এবং যৌনতা নিয়ে মিথ গুলো।
হ্যাপি ফেমিনিস্ট সেক্স গার্লস! 🍊🍌🍑🌸
📸 🙋♀️
©