সখী
বাড়ির সামনে টং দাঁড়িয়ে
আসর বসে রোজ,
সখী মোর একরাশ হাসি নিয়ে
গল্প দিয়ে রাঁধে যে ভোজ।
ধীরে ধীরে যায় যে বেড়ে মানুষের সংখ্যা,
টং যে অসহায় দিতে পারেনা জায়গা;
মধুর কণ্ঠে বয়ান করে গল্পের ব্যাখা,
যারা দেখেনি প্রকাশের ভঙ্গি তারা নিতান্তই অভাগা।
দখিনা হাওয়া বয়,
পাশেই বিশাল নদীর কূল,
গল্পের মেলায় সখীর নেই একটিও ভুল।
রোজ সন্ধ্যে গল্প সাজায়,
রোজ আসর বসে;
সকলের শুনার আগ্রহ সমান্তরাল রয়,
সবাই ঠিক সময়ে কৌতূহল নিয়ে আসে।
চারিদিকে থেমে যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,
খানিক পরে শুরু হয় মায়ের হাক;
আযানে মুখরিত চারিপাশ,
সমাপ্তির নির্দেশনা দেয় সখীর মেলার
সখীও আর্জি করেনা গল্পের শেষটা শোনার।
আবারো খালি টং,অসহায়ত্বের দরজায়,
সখী তার মায়ের আরেক হাকেই হারায়।
সুন্দর কবিতা