খন্দকার রাজীব আহমেদ
বাবা নেই বলে
না বলা কথা গুলো আজ বাতাসে মিলিয়ে যায়।
অনুভূতিগুলো অসার হয়ে পরে রয় ধ্বংস স্তুপের মত।
বাবা নেই বলে আজ
লক্ষ মানুষের ভীড়েও নিজেকে লাগে অসহায়।
সবই আছে তবুও কি যেন না থাকার বিশালতা।
বাবা নেই বলে পেছনটা আজ ফাঁকা
অদৃশ্য দেয়ালে শুধু তোমার ছবি আঁকা
মাথার উপর নেই বাবার ছায়া
যায় না দেখা তবুও শক্তিশালী।
নেই সাহস দেয়ার মত কেউ, নেই নির্ভরতা
বাবার সান্নিধ্যেই তা যায় বুঝা।
সতেরো বছর পেরিয়ে
বাবা তোমায় হারিয়ে
আমি যেন ধসে পড়া পাথরের নিচে আটকে আছি।
চলে গেছে বহুদিন
কত আনন্দ কত উৎসব আসে যায়
কেটে যায় নিরবে বাবা তুমিহীন।
বাবা নেই বলে
পেছন ফিরে তাকাই না
অপার্থিব আঁধার পেছনে তাড়া করে ফেরে।
সময়ের প্রয়োজনে ছুটে চলা
বিপদে আর ডরে না অন্তর কাঁপে না হৃদয়
তোমাকে ছাড়া চলে ফিরে আমি আজ অকুতোভয়।
বাবা তোমায় মনে পড়ে
সুখে দু:খে
ক্লান্ত শরীরে থমকে দাঁড়ালে
গতিময় জীবনের কোলাহল থেমে গেলে।
বাবা তুমি নেই বলে দেহের শেকড়টা আজও নড়বড়ে
যে পথে চলেছি একদা তোমার হাত ধরে
সেই পথে আজ চলি একাকী।
বাবা তুমি যেদিন চলে গেলে সেদিন বুঝিনি
আমি কি হারিয়েছি।
আজ আমার সকল অর্জনের মাঝেও
তুমি না থাকার ব্যাকুলতা।
বাবা তুমি নেই বলে আজ ম্লান হয়ে যায় হাসি
দোয়া করি শুধু আল্লাহ যেন তোমায় করেন জান্নাতবাসী।