মুহাম্মদ নেয়ামাতুল্লাহ সালেহী।
কখনো কখনো খুব হাসতে ইচ্ছে করে ,
হাসতে পারিনা, নির্বাক হয়ে পরি,
জীবনের কথা মনে পড়ে_
দূর অরণ্যে ফেলে আসা, অযথা ভালবাসা, অবহেলায় মাখা, প্রতিটি ক্ষণের কথা মনে পড়ে।
মনে পড়ে, ইচ্ছে পাখির
ডানা ভাঙ্গা দিনগুলোর কথা,
আজ উড়তে পারিনা আমি, খুজতেছি যথা_
কল্পনা করে ফিরি অতীতে,
আজ সে রথ লাগে অচেনা_
যেন আমি এক মহা ঋণী,
এ ঋণ শুধিবে না কোনদিনই,
তখন নিজেকে প্রশ্ন করি,
কত আছে তোর দেনা?
প্রশ্নের উত্তরে হতাশ হই,
খুঁজতে থাকি শৈশব কই,
উপরে উঠবো কোথায় মই_
হঠাৎ চোখ পড়ে জির্ণ শীর্ণ টেবিলের উপার,
সেখানে পড়ে আছে,
কতগুলো ধুলো পড়া বই,
অবহেলা করেছি তাকে,
অবহেলা করলে কেউ কি আগলে রাখে?
এসব ভেবে আমার দুঃখ আজ ক্লান্ত,
সে কাঁদতে পারেনা,
শত কষ্ট বুকে চাপা দেয়,
মুখ দেখে মনে হয় খুব শান্ত।
তবুও সে নিজের উপর ক্ষ্যান্ত_
যদিও কষ্ট হয়, খুব খুব কষ্ট হয়,
আত্ম আত্মাই দেখায় ভয়,
মনে হয়,
আর একটু জ্ঞান যদি শিখতাম,
আর একটি অক্ষর যদি লিখতাম,
তবেই হয়তো দেখা দিত বিজয়_
বিজয় খুব স্বার্থপর,
তার জন্য নিবেদিত না হলে
সে ফিরে তাকায় না,
আজ জীবনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে
আমি করছি বায়না।
বিজয় একটু কাছে আয়না?
সে আয়না, জানিনা আসবে কিনা?
তাবে কষ্ট হয় এতটুকুই জানি_
আর জানি, হাসতে ইচ্ছে করে,
চোখ আছে জল ভরে।
