Close

বিরক্তির কারণ

বিরক্তির কারণ

আমড়া গাছের ডালে,দুইটি পাখি আছে বসে
তাদের কথপোকথন বুঝার
সাধ্য কি আছে আমার!
তৎক্ষণাৎ কুবুদ্ধি আসে মাথাতে
বন্দুকের আওয়াজ হোতে।
পায়ের তলে জন্মানো ঘাসফুল
পলক রাখতে করে না ভুল
তাদের তুলে নিয়ে হাতে,
ছুঁয়েদেই আলতো করে
দল হীনতার ব্যথা ভোলাতে।
প্রজাপতির মেলা বসেছে
প্রকাশ করতে বাগান বিলাস
এরপর ফুল ফুটতে দেইনি
বৃষ্টির গান ধরেছি; সৃষ্টি করে বিরক্তির প্রয়াস।
কালো মেঘ যখন ঘুরে বেড়ায়
মলিন হয়ে, কান্না করবে বলে
সূর্য হয়ে উঁকি দেই তাদের চলার পথে।
নদীর স্রোতে ভাসা কচুড়ি পানা হয়েছি
গতি কমাতে ভেলার
মাঝির কণ্ঠে কর্কশ ধ্বনি হয়েছি
শেষ মুহূর্তে বেলার।
গহীন অরণ্যের পাশে নাম লিখিয়েছি 
কৌতুহল জাগার অপেক্ষায়
ঝর্নার ধারার সাথে গা ভাসিয়েছি
কারো স্পর্শের উপেক্ষায়।
অচেনা দেশে ভিখরিণী হয়েছি
ভিক্ষা চাওয়ার উদ্যমে
দরজার কড়া হয়ে ঝুলেছি,
অতীতে যা পাওয়া যেতো স্বল্প দামে।
কলমের কালি হয়েছি;স্থায়িত্ব জানান দিতে
সকলের ভুল হয়ে;
নিজেকে বিরক্তির কারণ বানিয়ে।

2 Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

2 Comments
scroll to top