Close

শিউলিবেলা (পর্ব-০৩)

IMG 20250426 210016

IMG 20250426 210016

-‘বুঝলে দাদু, তোমার আদরের বড় নাতি পিথিউশা তো কেলেঙ্কারী কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে।
যেনো তেনো মেয়ে নয়, সরাসরি সুপার মডেলের প্রেমে পড়েছে। বুঝতে পারছো? ওই ছোট, ছোট, কাটা কাটা জামা পরা মডেল। যারা হাঁটে কম, জামার লেজ উড়ায় বেশি। ভাবো একবার…(শিউলিবেলা)
কথাটা বলেই পিথিউশার দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো ঈশান। ঈশানের কথা শুনে তাদের দাদু মহসীনুল হকের গলায় ভাত আটকে গেলো, পিথিউশা পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিতেই উনি শান্ত অথচ গম্ভীর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালেন। সঙ্গে সঙ্গে অন্যদিকে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো পিথিউশা, বিড়বিড় করে বললো, ‘বাপরে, কি ভয়ানক। যেনো চোখ দিয়ে অগ্নীবর্ষণ হচ্ছে, একটু হলেই ঝলসে যেতাম।’ সবার দৃষ্টি তখনো পিথিউশার চেহারায় স্থির, যেনো এ মুহূর্তে তার চেহারা পড়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ ধরণীতে নেই। সে ভ্রুঁ কুঁচকে অগ্নীদৃষ্টিতে তাকালো ঈশানের দিকে, দেখে মনে হলো পারলে এখনি ভষ্ম করে দেবে তাকে। পিথিউশার অগ্নীদৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ঈশান আবার বললো,
-‘বুঝলে মা, এ যাত্রায় তোমাদের মেয়ে দেখার ঝামেলা কমে গেলো। তোমরা বরং আমার জন্য…’
আরজু হক মুচকি হাসলেন, তার ছেলের পাগলামী দেখে আজকাল আর বিরক্ত লাগে না। এ ছেলেটা এতো বিয়ে পাগল… এ পর্যায়ে এসে তাদের বাবা মঈনুল হক কথা বললেন। গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন,
-‘তোমার বউ এসে কি খাবে? চাকরি বাকরি তো করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছো, এখন কি বেকার অবস্থায় বিয়ে করে বংশের পরম্পরাও ভাঙ্গতে চাচ্ছো? মনে রেখো, বেকার ছেলে আর তার বউকে ঘরে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো এতো ভালো বাবা আমি নই। যার বউ তাকেই খাওয়াতে হবে…’
ঈশান মুখের খাবারটা কোনোমতে গিলে বোকার মতো বললো,
-‘ভাত খাবে বাবা, আমার বউ ভাত খাবে। আমি তো কোনো বিদেশী বিয়ে করবো না… তুমি টাকা না দিলে কি হবে? ভাইয়ার টাকায় খাবে আমার বউ।’
ঈশানকে যে চাকরির জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে তার মোটা মাথায় তা ঢুকে নি ততোক্ষণেও। তার বোকামি দেখে দাদু অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন, কোনো মতে হাসি থামিয়ে বললেন,
-‘বউ খাওয়ানোর মুরোদ নেই, সে করবে বিয়ে। তোর মতো ছন্নছাড়াকে কে বিয়ে করবে রে ছোট নাতি? কোনো বাপ তার মেয়ের দায়িত্ব তোর হাতে কিসের ভরসায় দেবে হ্যাঁ?’
এতোক্ষণে বাবার কথার মর্মার্থ উদ্ধার করতে পারলো ঈশান, মলিন মুখে বললো,
-‘এ বাড়িতে সবার জন্য ভাত আছে, কেবল আমার বউয়ের জন্য নেই…’
খাবার প্লেটটা দূরে ঠেলে দিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো সে। কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো,
-‘খাবো না আমি এ বাড়ির খাবার, যতোদিন নিজে উপার্জন না করছি ততোদিন আমি অন্নস্পর্শ করবো না। যে বাড়ির ভাতে আমার বউয়ের অধিকার নেই সে বাড়ির ভাত আমার গলা দিয়ে নামবে কি করে! সারাদিন শুধু চাকরি, চাকরি, চাকরি… চাকরি না করে তো মরে যাচ্ছি না।’
কথাটা বলেই নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো ঈশান, দু-তিন কদম এগোতেই পিছন ফিরে তাকালো। যখন দেখলো কেউ তার কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে চুপচাপ খাওয়ায় মনোযোগ দিয়েছে তখন নিজেই এসে নিজের আধখাওয়া প্লেটটার সামনে বসে পড়লো। বিড়বিড় করে বললো,
-‘যে এখনো এ বাড়িতে আসে নি, যার খোঁজ এখন অবধি জানি না তার জন্য অভুক্ত থাকতে যাবো কেনো, আমি কি অতো বোকা নাকি!’
খাবার টেবিলে আরেক দফা হাসির দমকা বইলো, ঈশানটা পারেও বাবা। ওর মতো মানুষ কোনো পরিবারে থাকলে আলাদাভাবে বিনোদনের প্রয়োজন পড়ে না।

ক্যামেরার লেন্স মুছতে গিয়ে পিথিউশার হঠাৎ নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গর্দভ মনে হলো। তখন অতশীকে দেখে এভাবে দৌঁড়ে যাবার কি ছিলো? আর গেলোই যখন তখন ক্যামেরাটা গাড়ীতে কেনো ফেলে গেলো! অদ্ভুত, একজন প্রফেশনাল ফটো জার্নালিস্ট হয়ে সে এরূপ দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে পারলো না! বড্ড বেশি আফসোস হলো পিথিউশার, সঙ্গে নিজের প্রতি রাগও। কয়েক ঘন্টার মাঝে নিজ ব্যক্তিত্বের এ তুমুল পরিবর্তনে অবাক হলো পিথিউশা, বিড়বিড় করে বললো, ‘আল্লাহ, আমাকে ধৈর্য্য দাও।’
দরজায় কড়া নড়ার শব্দ হলো, একবার, দু’বার, তৃতীয়বারের সময় দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলেন মহসীনুল হক। পিথিউশা ওনাকে দেখেই দাঁড়িয়ে গেলো, এগিয়ে গিয়ে ওনার হাত ধরে বিছানায় বসালো। মহসীনুল হক হালকা কেশে পিথিউশাকে ইশারায় বসতে বললেন। পিথিউশা তার পাশে না বসে পায়ের সামনে বসে পড়লো, কাঁপা কাঁপা হাতে উনি পিথিউশার কোঁকড়া চুলগুলোতে হাত রাখলেন, হাত বুলিয়ে আলতো করে ছুঁয়ে দিলেন ওর চোখ, কপাল, নাক, গাল। তারপর স্বাভাবিক অথচ বড্ড গম্ভীরস্বরে জিজ্ঞেস করলেন,
-‘তুমি সত্যিই একটা মডেলের প্রেমে পড়েছো পিথিউশা?’
পিথিউশা বরাবরই স্পষ্টভাষী, অথচ এ মুহূর্তে তার গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। নিজের মাঝে কেমন আড়ষ্টতা কাজ করছে, বুকের বাঁ পাশে হৃদস্পন্দন তড়িৎ বেগে ছুটছে… পিথিউশা হঠাৎ উঠে দাঁড়ালো, এ মানুষটার সামনে আর দু’দন্ড বসে থাকলে নিশ্চিত পিথিউশার ভেতরকার পরিবর্তন তার দৃষ্টিগোচর হয়ে যাবে। জানলার সামনে দাঁড়িয়ে বাইরে দৃষ্টি স্থীর করলো পিথিউশা, বিড়বিড় করে বললো, ‘প্রেম! প্রথম দেখায় প্রেম হয়! এ প্রেম কি স্থায়ী? নাকি কেবলই ক্ষণিকের ভ্রম?’ পিথিউশাকে বিড়বিড় করতে দেখে দাদু বললেন,
-‘পিথিউশা, তুমি বরাবরই আমার প্রিয়। ছোটবেলা থেকেই তোমাকে আমি ধৈর্য্য ধরে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছি। তুমি বাস্তবতা বোঝো, মানুষ চেনো। আশা করি তুমি কোনো ক্ষণিকের মোহে জড়াবে না। নিজেকে সময় দাও, নিজের জন্য যা উত্তম তা চিহ্নিত করো। তারপর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নাও। তোমার যে কোনো সিদ্ধান্তে আমি ঢাল হয়ে পাশে থাকবো।’
এ পর্যায়ে পিথিউশার ফর্সা মুখটায় রক্তিম আভা দেখা দিলো, জানলার বাহিরে দৃষ্টি স্থীর রেখেই বললো,
-‘আপনি কিছু ভাববেন না দাদু। আসলে ঈশান ছেলেমানুষ, তাই তিলকে তাল বানিয়ে দিয়েছে। প্রেম ট্রেম কিছু না, ক্ষণিকের ভালোলাগা বলতে পারেন।’
কথাটা বলে হাসার চেষ্টা করলো পিথিউশা, তার হঠাৎ মনে হলো এ হাসিটা প্রাকৃতিক নয়, জোরপূর্বক… মহসীনুল হক এগিয়ে এসে পিথিউশার কাঁধ চাপড়ে বললেন,
-‘মাঝে মাঝে ক্ষণিকের ভালোলাগা সারা জীবনের পথচলার ভিত্তি হয় পিথিউশা। অনেক তো কাজ করলে, এবার নিজেকে নিয়ে, নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবো। আমি তো সারাজীবন থাকবো না, তবে মৃত্যুর আগে তোমাকে সঠিক হাতে তুলে দিতে চাই। এমন কাউকে চাই, যে বাকি জীবনটা তোমাকে ভালোবেসে নিজের সঙ্গে বেঁধে রাখবে… একটা পরিপূর্ণ পরিবার, একজন উত্তম জীবনসঙ্গী সবই তোমার প্রাপ্য।’
পিথিউশা কিছু বলতে পারে না, কেবল অপলক এই বৃদ্ধ মানুষটার দিকে তাকিয়ে থাকে। মানুষটা তাকে কি ভীষণ ভালোবাসে! যে ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই, স্বার্থ নেই, আছে কেবল সীমাহীন স্নেহ, ভালোবাসা, নিজের সবটা উজাড় করে তাকে আগলে রাখার প্রচেষ্টা…সত্যি কি কেউ এ মানুষটার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারবে? তার যত্ন করতে পারবে? মুচকি হাসে পিথিউশা, আকাশপানে তাকিয়ে তারা গুনতে গুনতে ভাবে, তার ভাগ্যটা নেহাত মন্দ নয়, এতো ভালো পরিবার ক’জনেরই বা হয়! হয়তো দাদুর কথা মতো সে’ও পেয়ে যাবে এমন কাউকে যে তাকে ভালোবাসার বন্ধনে বেঁধে ফেলবে আজীবনের জন্য।


অমিতের ডাকে লাফ দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলো অরিত্রী, কোনোমতে নিজেকে সামলে জিজ্ঞেস করলো,
-‘কি রে ভাই, মাঝ রাতে ডাকছিস কেনো?’
অমিত ব্যতিব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-‘তুই আজ এতো জলদি শুয়ে পড়লি কেনো ছোটপু?’
আজ একটু দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়েছিলো অরিত্রী, প্রচন্ড মাথা ধরেছে তার। এক হাতে মাথা চেপে ধরে বললো,
-‘মাথা ধরেছে রে ভাই, তুই হঠাৎ ডাকলি কেনো? কিছু লাগবে তোর?’
অমিত গলার স্বর খাদে নামিয়ে বললো,
-‘বড়পু আজকেও ড্রিংক করেছে, একটা দামী গাড়ীতে চড়ে বাড়ি ফিরেছে। গাড়ীর ড্রাইভার বড়পুকে বাড়ির গেইটের সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে। আমি একা বয়ে আনতে পারছি না, তাই তোকে…’
অমিতকে আর বলতে হলো না কিছু, অরিত্রী বুঝে গেছে সবটা। বিছানা থেকে নেমে চুলটা হাতখোপা করতে করতে বললো,
-‘মা বা বাবাকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এমনিতেই বাবার শরীরটা ভালো না, এসব জানলে আরো শরীর খারাপ করবে। চুপচাপ ঘরে এনে শুইয়ে দিলে সকালে দেখবি ঠিক হয়ে যাবে।’
অমিত মাথা ঝাঁকিয়ে সায় জানালো, দুই ভাই-বোন মিলে অতসীকে তার ঘরে নিয়ে শুইয়ে দিলো। ঘর থেকে বের হতে গিয়েও ফিরে এলো অরিত্রী। অতসী নেশার ঘোরে তখন থেকে কি যেনো বিড়বিড় করে যাচ্ছে, বুঝার জন্য অতসীর মুখের কাছে কান নামিয়ে আনলো অরিত্রী। তবে কিছু বুঝতে পারলো না, কেবল অতসীর চোখের কোন বেয়ে পড়া নোনাজলে তার হাত ভিজে গেলো। কি ভেবে আর নিজের ঘরে ফিরে গেলো না অরিত্রী, অতসীর শিয়রে বসে বাকি রাতটা কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলো।
ঘুম থেকে জেগে অরিত্রীকে নিজের মাথার কাছে বসে থাকতে দেখে মুচকি হাসে অতসী। সবাই তাকে বড় বললেও সে জানে, কিছু দিক দিয়ে অরিত্রী তার থেকে অনেক বেশি পরিপক্ক। এই যেমন আপনজনের যত্ন করার ব্যাপারে… অতসী কখনোই কারো যত্ন করতে পারে না, উল্টো অল্পতেই অধৈর্য্য হয়ে পড়ে। অথচ অরিত্রীটা অকপটে সকলের জন্য করে যায়, একটু অভিযোগও করে না। অতসীর মাঝে মাঝে ভয় হয় অরিত্রীর জন্য। কিন্তু কেনো হয়? সঠিক উত্তরটি জানা নেই অতসীরও। হয়তো অরিত্রীটা তার মতো চালাক নয় বলেই এ ভয়…
অতসীর মাথার কাছে বসে থাকতে থাকতে এক সময় চোখের পাতায় ঘুম ভর করেছিলো অরিত্রীর। অতসী উঠে অরিত্রীর গাল টেনে দেয়াতে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো, মুচকি হেসে বললো,
-‘শুভ সকাল, আপু।’

অতসী ঠাট্টা করে বললো,
-‘সকাল আর শুভ হলো কই, সেই তো তোর মুখ দেখে ঘুম ভাঙ্গলো। এখন সারাদিন কাজকর্ম ফেলে না সমাজসেবা করতে হয়…’
চেয়ারের ওপরে পড়ে থাকা তোয়ালেটা অতসীর দিকে এগিয়ে দিয়ে অরিত্রী বললো,
-‘তা আর মন্দ কি? অনেক অনেক পূণ্য কামাবে আর অসহায়দের দোয়া পাবে। জানো তো, গরীবের দোয়া দ্রুত কবুল হয়।’
অতসী অরিত্রীর গাল টেনে বলে,
-‘তুই যে এতো এতো দোয়া পাচ্ছিস সেখান থেকে কিঞ্চিত ভাগ আমাকে দিস, তবেই চলবে।’
অরিত্রী আর কথা বাড়ায় না, নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ায়। তার মাঝে মাঝে নিজেকে দেখে অবাক লাগে, মনে হয় আসলেই সে এ পরিবারেরই তো! পরিবারের কারো মাঝেই অন্যকে সাহায্য করার প্রবণতা খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না, অথচ অরিত্রীর কেবল অন্যের জন্য মন কাঁদে। ফোনের রিংটোনে ভাবনাচ্ছেদ ঘটে অরিত্রীর, স্ক্রিনে আয়ান নামটার দিকে কিছুক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে একসময় বাড়ির সবার আড়ালে গিয়ে কলটা রিসিভ করে…
কল রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে অরিত্রীই প্রথমে বলে,
-‘আয়ান, কল করলে কেনো? আমি বাসায় থাকাবস্থায় কল করতে মানা করেছিলাম না?’
আয়ান কিছুটা বিব্রতভাবে বললো,
-‘না পারতে কল করেছি অরিত্রী, একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। তোমার একটু সাহায্য লাগতো…’
এ মানুষটাকে একসময় অরিত্রী খুব করে চাইতো, মনে হতো একদিন না দেখলেই দম বন্ধ হয়ে মরে যাবে। মনের কথা আজ অবধি বলা হয় নি, হয়তো বলা হবে না কখনোই। তবুও যোগাযোগটা রেখেছে সে, তবে আজকাল আয়ানের হুটহাট কল করা তার মাঝে বিরক্তির সৃষ্টি করে, ভয়েরও… কিছুটা শঙ্কা ও বিরক্তি নিয়েই অরিত্রী বললো,
-‘আমি কিছুক্ষণ পর স্কুলে যাবার জন্য বের হবো, গলির মোড়ে দেখা করো। এখন দয়া করে ফোন রাখো…’

চলবে…

নবধারা জল (যৌথ গল্পগ্রন্থ সম্পাদনা) সূর্যপ্রভা (উপন্যাস)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Leave a comment
scroll to top