Close

শিউলিবেলা (পর্ব- ০৬)

20250514 125533

20250514 125533

তাতে লেখা,
‘ওগো পূর্ণিমার মোহময় চন্দ্রিমা,
তোমারো আলোকে আলোকিত এ ধরা
শিউলিতলায় ওই কে যায়,
আলোক বৃষ্টিতে নিজেরে ভেজায়!
রাতের আঁধারে এ কোন মায়ায়,
আমায় ফেলিলে আজীবনের দোটানায়!
অতসী,
আজকাল আপনাকে না দেখে থাকাটা বড্ড বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে আমার জন্য, লুকিয়ে দেখবার লোভ সামলাতে না পেরে কাল রাতে এসেছিলাম এক পলক দেখতে। তবে বিধাতা আমার উপর সুপ্রসন্ন না হলে কাল রাতের স্বর্গীয় দৃশ্যটি কখনোই দেখা হতো না আমার। শিউলিতলায় দাঁড়ানো আপনাকে আমার জীবন্ত শিউলিফুল মনে হচ্ছিলো। অতীতে আমার পছন্দের জিনিস কারো পছন্দ হলে আমার রাগ হতো, মনে হতো যা আমার তা কেবল আমারই। অন্যজন তা পছন্দ করবে কেনো? কিন্তু কালরাত প্রথমবারের মতো আপনার শিউলিফুল পছন্দ তা জানার পরও আমার রাগ হলো না। বরং মনে হলো, আপনার সঙ্গে নিজের পছন্দ ভাগ করে নিতে পেরে আমার অতৃপ্ত মন তৃপ্ত হয়েছে। দেখুন না, আপনি ঘুমাচ্ছিলেন, আর আমি আপনার ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে দু-তিন লাইন পঙ্কতিও লিখে ফেললাম। আমি কিন্তু মোটেও কবি ধাঁচের লোক নই, একটু অন্তর্মুখী ধরনের মানুষ আমি। আমাকে কি আপনার ব্যস্ত ঝাঁকঝমকপূর্ণ জীবনটায় একটু জায়গা দেবেন?’
চিঠিটা ভাজ করে খালি ঝুড়িটায় রাখলো অরিত্রী, সঙ্গে সঙ্গেই চাপা দীর্ঘশ্বাসটা বাতাসে মিলালো। চাদরটা ভাজ করে বাড়ির ভেতরে গেলো অরিত্রী, নামাজ পড়ে অতসীর ঘরে গেলো আগের দিনের ঝুড়িগুলো নিয়ে। অতসী তখন জেগেই ছিলো, কোনো একটা এ্যাডের স্ক্রিপ্ট মুখস্ত করছে সে। তিনটে ঝুড়ি হাতে অরিত্রীকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
-‘কি রে, শিক্ষকতা ছেড়ে কি ফুল বেচার সিদ্ধান্ত নিলি? ঝুড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস এই ভোরবেলায়?’
অরিত্রী আগের দুটো চিরকুট আর আজকের চিঠিটা অতসীর সামনে রেখে বললো,
-‘তোমার কোনো এক ভক্ত ঝুড়ি ভর্তি করে শিউলিফুল পাঠিয়েছিলো। শুধু আজ নয়, আগেও কয়েকদিন পাঠিয়েছিলো। ফুলগুলো আমি শুকিয়ে রেখে দিয়েছি, তুমি চাইলে নিতে পারো। এ চিরকুটগুলো আর চিঠিটাও ছিলো ফুলের সঙ্গে।’
হাতের চাদরটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
-‘এ চাদরটাও তোমার জন্যই।’
চাদরটা দেবার সময় অরিত্রীর ভীষণ মন খারাপ করছিলো, সে টের পাচ্ছিলো তার ভেতরকার স্বত্তা চিৎকার করে বলছে, ‘ভুল করে হলেও মানুষটা তাকে অতসী ভেবে চাদরটা দিয়েছে। এটা তার, অতসীর নয়।’ তবুও বাহিরে থেকে নিজেকে স্বাভাবিক রাখলো, অতসীর কথা বলার অপেক্ষা করলো। স্ক্রিপ্ট থেকে মুখ তুলে অতসী অরিত্রীর দিকে পূর্ণদৃষ্টি ফেললো এবার, শান্তস্বরে বললো,
-‘আমি প্রতিদিন কতো কতো উপহার পাই তুই তো জানিস? তোর সে সম্পর্কে ধারনা অবধি নেই। আমার উপহার পাওয়া ডায়মন্ড সেট কতোগুলো জানিস? সেই আমি কি না সস্তা কতোগুলো ফুল আর চিঠি গ্রহন করবো? শোন, এরপর থেকে এসব উপহার আসলে ফেলে দিবি। যে আমাকে ওই টোকানো শিউলিফুলের মতো সস্তা ভাবে তার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।’
অরিত্রী কিছু বলে না, জিনিসগুলো নিয়ে বের হবার জন্য পা বাড়ায়। অতসী আবার বলে,
-‘তোর তো আবার অন্যের জিনিস নেয়ার অভ্যাস আছে, তাছাড়া তোর মন তো সস্তা জিনিসেই ভরে যায়। চাইলে এই সস্তা লোকটাকেও নিজের জন্য রেখে দিতে পারিস, হয়তো তোদের মন মানসিকতা মিলে যাবে।’
কথাটা বলে হাসলো অতসী, অরিত্রী কিছু না বলেই নিজের ঘরে চলে এলো। সকাল সকাল কোনো ঝামেলা করতে চায় না সে।
নিজের ঘরে এসে অরিত্রীর মনে হলো, তার বুক থেকে অনেক বড় বোঝা নেমে গেছে। অতসী বেনামী চিরকুটদাতাকে চায় না, তার মানে সে প্রতিদিন চিরকুটগুলো নিতে পারবে। তবে মনে মনে কষ্ট পেলো মানুষটার জন্য, অতসীর কারনে মানুষটা কষ্ট পাবে। অতসী লোকটাকে সস্তা বলাতে অরিত্রীর ভীষণ খারাপ লেগেছে, কেউ ফুল ভালোবাসলেই সস্তা হয়ে যায় নাকি! হঠাৎ অরিত্রীর মনে হলো, যদি সত্যিই এ মানুষটাকে সে নিজের জন্য রেখে দিতে পারতো! তবে নিশ্চয়ই সে রেখে দিতো এ’কে নিজের কাছে। যার চিন্তাধারা এতো সুন্দর, যে ঘুমন্ত অরিত্রীকে পেয়ে কোনো অসভ্যতা না করে কবিতা রচনা করে, সে ব্যক্তি আর যা’ই হোক সস্তা মানুষ হতেই পারে না। অরিত্রীর সিদ্ধান্ত নিলো, কখনো এ লোকটার মুখোমুখি হলে সে বলবে, ‘আপু আপনাকে ভালোবাসে না, তবে আমি আপনাকে ভালোবাসি। আমাকে সেদিন রাতে শিউলিতলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে আপনার শিউলিফুল বলে ভ্রম হয়েছিলো আপনার। আপনি কি আমাকে আপনার জীবন বৃক্ষের শিউলিফুল হবার সুযোগ দেবেন?’ হঠাৎ নিজের চিন্তায় নিজেই অবাক হলো অরিত্রী, তার কেনো হঠাৎ মনে হলো যে সে চিঠিদাতাকে ভালোবাসে! এটা তো ক্ষণিকের ভালোলাগাও হতে পারে, ভালোবাসাই ভাবতে হলো কেনো? কোনো উত্তর পায় না অরিত্রী, কিন্তু তার মনোবাগানে শীতল হাওয়া বাহিত হয়। চাদরটা বুকে জড়িয়ে জানলায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে দীর্ঘক্ষণ। আজ যেনো তার কোনো তাড়া নেই…

১০
ফটোশ্যুটের সময় সামনে দাঁড়ানো ঈশানকে দেখে বেশ বিরক্ত হলো অতসী, মনে মনে কয়েকটা বাজে গালিও দিলো সে। এই ছেলেটার সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় সুখকর ছিলো না, আজ আবার কোন ঝামেলা পাকাতে এখানে এসেছে কে জানে! কয়েকটা শট নেবার পরও অতসীর অন্যমনষ্কতার জন্য কাজ আগালো না। অতসীকে শর্ট ব্রেক নিতে বলে ফটোগ্রাফার অন্য কাজে চলে গেলো। ফটোগ্রাফার যাবার পর অতসী উঠে ঈশানের কাছে গেলো, বিরক্তিভাবটা লুকানোর চেষ্টা করে বললো,
-‘আপনি এখানে কেনো?’
ঈশান খ্যাঁকখ্যাঁক করে হাসতে শুরু করলো, অতসীর তখন প্রচণ্ড গা জ্বালা করছে। এমন করে হাসছে কেনো ছেলেটা! অতসীর রাগে লাল হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে ঈশান হাসি থামাতে গিয়ে আরেক দফা হেসে ফেললো। চোখ টিপে বললো,
-‘টমেটোরও আবার মেকাপ লাগে?’
অতসী ভ্রু কুঁচকে ঈশানের দিকে তাকিয়ে দাঁত কটমট করে করে জিজ্ঞেস করলো,
-‘কি বলতে চাইছেন? পরিষ্কার করে বলুন।’
ঈশান আরেক দফা হেসে বললো,
-‘আপনি তো এমনিতেই টমটোর মতো লাল, শুধু শুধু মেকাপ দিয়ে আর্টিফিশিয়াল লাল বানাচ্ছেন কেনো নিজেকে?’
তারপর আবার আফসোস করে বললো,
-‘হায়, বাঙালী জাতি… বুঝলেন, এটাই বাঙালী জাতির দোষ। ভালো জিনিসকে ফরমালিন দিয়ে আরো ভালো বানানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জিনিসটা ভালোর বদলে হয় মন্দ, মহা মন্দ…’
অতসী নিজের রাগ সংবরণ করার বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো, কিছুটা চিৎকার করে বললো,
-‘আপনার মতো নমুনা এ বাংলায় আছে বলেই বাংলাদেশের এ দশা… বাঙালীর নিন্দা করছেন, আপনি কি ফরাসি নাকি? নিজেকে কি ভাবেন হুঁ? রাজা-মহারাজা? একা আপনি সঠিক আর দুনিয়ার সব মানুষ ভুল? সবাই আসতে যেতে আপনাকে কুর্ণিশ করবে আর বলবে, ‘জাহাপনা, আমাদের অন্যায় ক্ষমা করুন!’ এমন কিছু আশা করেন আপনি?’
অতসীর হঠাৎ চিৎকারে ঈশান কিছুটা ভঁড়কে গেলো, তার কাঁচুমাচু চেহারা দেখে আনন্দ হচ্ছে অতসীর… হাসি সংবরন করে চেহারায় গাম্ভীর্য বজায় রেখে বললো,
-‘সত্যি করে বলুন তো, কি চাই আপনার? আমার পেছনে পড়েছেন কেনো?’
অতসী ভেবেছিলো ঈশান তাকে নিজের ভালোবাসার কথা বলবে, তার কাছে এসব ব্যাপার নতুন নয়। আগেও এমন অনেকেই প্রথম দেখায় তার প্রেমে পড়ে গেছে। সে খুব দক্ষতার সঙ্গে এ জাতীয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জানে। ঈশান প্রেম প্রস্তাব দিলে তা কি করে নাকচ করবে তাও মনে মনে এক প্রকার ঠিক করে নিলো অতসী। কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে ঈশান হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়লো, মিনমিন করে বললো,
-‘আপনি আমার ভাবী হবেন?’
বিষম খেলো অতসী, তার ফ্যাকাশে চেহারা দেখে মনে হলো এমন অদ্ভুত কথা সে শোনে নি বহু বছর। কিছু একটা বলতে গিয়ে দেখলো বিস্ময়ে তার গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না, কোনোরকমে নিজেকে সামলে বললো,
-‘আমার ব্রেক শেষ, আমি ব্যস্ত। আপনার সঙ্গে পরে এ নিয়ে কথা বলবো।’
কথাটা বলে আর দাঁড়ালো না অতসী, পেছন ঘুরে দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো। যেতে যেতে হঠাৎ তার মনে হলো পরে কি কথা বলবে সে? আসলেই কি বলার মতো কিছু আছে! প্রথমবারের মতো তাকে কেউ প্রেম প্রস্তাব না দিয়ে নিজের বাড়ির বউ করবার প্রস্তাব দিয়েছে, কেনো? একজন মডেলকেও কেউ বাড়ির বউ করার কথা ভাবতে পারে! ঈশানকে কিছুক্ষণ আগেও একজন বিরক্তিকর মানুষ মনে হলেও এখন তাকে নিখাদ ভালো মানুষ মনে হচ্ছে অতসীর। না, ছেলেটাকে তার জানতে হবে। যে মানুষগুলো সাধারণের মাঝে থেকেও অসাধারণ হয় তাদের জানতে ও বুঝতে ভালো লাগে অতসীর, মনের মাঝে ঈশানকে কাছ থেকে জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করছে অতসী…

১১
মঈনুল হক আজ আশ্রমে আসার সময় পিথিউশাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের প্রতি পিথিউশার গভীর টান তিনি বরাবরই উপলব্ধি করেছেন, তার অবর্তমানে এ আশ্রমের মানুষগুলোকে সাহায্য করবার দায়িত্ব তিনি পিথিউশার উপর ন্যস্ত করতে চান। তাই এখন থেকেই ছেলেকে এখানকার পরিবেশ ও মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আশ্রমের চারপাশ নিজে ঘুরিয়ে দেখালেন তিনি পিথিউশাকে, ফান্ডের ব্যাপারটাও বুঝিয়ে দিলেন, যাবার সময় পিথিউশা গাড়ীতে উঠতে নিলে বললেন,
-‘তুমি কোথায় যাচ্ছ? এখানে থাকো, মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচিত হও, একাত্মতা বাড়াও। তুমি এমনিতেও মানুষের সঙ্গে কম মেলামেশা করো, ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে না। অতীত ভুলে যাও পিথিউশা, তুমি, তোমার পরিবার, তোমার বর্তমান এটাই তোমার সত্য। অতীতকে তোমার অর্ধাঙ্গিনীর জন্য তুলে রাখো, একমাত্র তার সামনেই উন্মোচিত করো তোমার অতীত নামক লুকানো সত্যের… তার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তুমি এবং তোমার বর্তমানই তোমার জীবনের ধ্রুব সত্য।’
মঈনুল হকের কথা শুনতে পিথিউশার ভালো লাগে, মানুষটার কথা শুনে চলেছিলো বলে তার জীবনের কঠিন সময় খুব সহজেই পার করতে পেরেছিলো সে। আজও অন্যদের সঙ্গে মিশতে কষ্ট হয় তার, নিজেকে ভীষণ আলাদা মনে হয়। কিন্তু এ মানুষটা তাকে বারংবার বুঝিয়ে দেয়, সে আলাদা নয়। সে এদের মতোই সাধারণ মানুষ। শ্রদ্ধা করে সে তার পিতাকে, তবে পিতা হিসেবে নয় বন্ধু হিসেবে। পিথিউশা বিড়বিড় করে বলে, ‘বাবা নামক বন্ধুর বন্ধুত্বর সামনে পৃথিবীর সকল বন্ধুত্ব বড্ড ফিকে লাগে।’
আশ্রমের ভেতরে পা বাড়ায় পিথিউশা, পূর্ব দিক থেকে বাচ্চাদের হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে, হাসির শব্দ অনুসরণ করে এগিয়ে যায় সে। বিস্ময়, মুগ্ধতা, স্নিগ্ধতা সকল অনুভূতি একবারে এসে ভর করে তার উপর। অরিত্রীকে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে দেখে পিথিউশা বিড়বিড় করে বলে, ‘অতসী, তোমায় আর কতো রূপে দেখবো!’ এগিয়ে যায় পিথিউশা, অরিত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-‘আপনার সঙ্গে আবারও দেখা হয়ে গেলো অতসী।’
পিথিউশাকে অরিত্রী চেনে, কিছুক্ষণ আগেই জেবুন্নেসার কাছে মঈনুল হক আর পিথিউশার ব্যাপারে শুনেছে সে। লোকটা তাকে দেখে অতসীর নাম নিয়েছে মানে লোকটা অতসীকে চেনে, যেহেতু পিথিউশা আশ্রমের ফান্ডের ব্যাপারে সাহায্য করবে সেহেতু নিজের পরিচয় দিয়ে আশ্রমের প্রতি লোকটার আগ্রহ কমালো না সে। নিজের পরিচয় গোপন রাখতে ক্ষীণস্বরে বললো,
-‘আমাকে আশ্রমে অতসী ডাকবেন না, এখানে সবাই আমাকে অরিত্রী বলে ডাকে, আপনিও তা’ই ডাকবেন। তাছাড়া সেলিব্রেটিদের আসল পরিচয় বাইরে দিলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায় না।’
কথাটা ভালো লাগলো পিথিউশার, মেহেদী রঙের শাড়ী পরা অরিত্রীকে ভালো লাগছে ভীষণ। আগের দিনের গাউন পরা গ্লামারাস অতসীর তুলনায় আজকের অতসী তার চোখে অপরূপা। কিন্তু পিথিউশা তো জানে না, সে দু’টো ভিন্ন মানুষের সঙ্গে ভিন্ন সময়ে কথা বলছে। এই ভুল বোঝাবুঝির শেষ কোথায়?

চলবে…

নবধারা জল (যৌথ গল্পগ্রন্থ সম্পাদনা) সূর্যপ্রভা (উপন্যাস)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Leave a comment
scroll to top