গ্রামের এক কোণে বাস করত রাশেদ নামের এক যুবক। সে খুবই পরিশ্রমী ছিল, কিন্তু জীবনে সে যতই চেষ্টা করুক না কেন, সফলতা যেন তাকে ধরা দিত না। বহুবার চাকরির জন্য চেষ্টা করেছে, ব্যবসা শুরু করেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মন ভেঙে যেতে শুরু করেছিল। মাঝে মাঝে সে আল্লাহর কাছে প্রশ্ন করত, “হে আল্লাহ! আমি এত পরিশ্রম করি, তবুও কেন তুমি আমাকে সফল করো না?”
একদিন এক বড় শহরে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে রাশেদ দেরি করায় ইন্টারভিউ মিস করে। হতাশ হয়ে সে একা একা বসে কাঁদছিল। এমন সময় এক বৃদ্ধ লোক তার পাশে এসে বসলেন। তিনি রাশেদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হয়েছে, ছেলে?”
রাশেদ সব খুলে বলল। বৃদ্ধ একটু হাসলেন আর বললেন, “আমি এক সময় এক প্রকৌশলী ছিলাম। একবার আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়। আমি ভেবেছিলাম আমার সব শেষ। কিন্তু সেই সময় আমি একটি নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করি, আর আজ আমি সেই কোম্পানির চেয়েও বড় একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। কারণ তখন আমি বুঝে গিয়েছিলাম — আল্লাহ কখনোই তার বান্দাকে ভুল জায়গায় রাখেন না। তিনি সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।”
রাশেদ ফিরে এসে ছোট একটি অনলাইন কোর্স শুরু করল, নিজের স্কিল উন্নত করল এবং কয়েক মাসের মধ্যেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা পেতে লাগল। কিছুদিন পর সে নিজেই একটি ছোট কোম্পানি শুরু করল।
যখন পিছনে ফিরে তাকাল, রাশেদ উপলব্ধি করল — যেসব ‘ব্যর্থতা’ তাকে কাঁদিয়েছিল, সেগুলোই ছিল তার জন্য আল্লাহর সবচেয়ে ভালো পরিকল্পনার অংশ।